শিশু সানজিদাকে হত্যার পর মুক্তিপণের নাটক সাজায় ঘাতকরা
প্রকাশিত: ১৮:৪৭ ১৭ জানুয়ারি ২০২১

সানজিদা হত্যায় গ্রেফতারকৃত দুই ঘাতক
গত ১২ জানুয়ারির ঘটনা। সুপারি কুড়ানোর নাম করে শিশু সানজিদাকে তার বাড়ির পাশের জঙ্গলে নিয়ে যায় একই বাড়ির ইয়াছিন ও আরেক কিশোর শাকিল। একটু পরই সে বাড়ি যেতে চায়। তবে তারা আটকালে সে কান্নাকাটি শুরু করে। কান্নাকাটি শুরু করলে তারা দুজন শিশুটির গলা টিপে ধরে। এতে শ্বাসরোধে মারা যায় সানজিদা। মৃত্যুর পর সেখানেই ফেলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে ঘাতকরা।
ঘটনা এখানেই শেষ নয়। হত্যার পর মুক্তিপণের নাটক সাজায় ওই দুই ঘাতক। ওইদিন রাতে ঘরের বারান্দায় একটি চিরকুট ফেলে রাখে তারা। সেখানে একটি নাম্বার উল্লেখ করে লেখা ছিল- আপনার মেয়েকে বাঁচাতে চাইলে এই নাম্বারে কল করুন। তবে সেটি বন্ধ পাওয়া গেলেও পরদিন একটি বিকাশ এজেন্টের নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে প্রথমে তাদের ৫০ হাজার টাকা বলে। পরিবার গরিব বলে এত টাকা দিতে পারবে না বলে তাদের ২০ হাজার টাকা দিলে মেয়েটিকে ফিরে পাবে বলে জানায়। কিন্তু টাকা দিতে পারেনি তারা। এরই মধ্যে গত শুক্রবার বাড়ির পাশের একটি জঙ্গল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব-১৪। বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করে নিবিড় তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয় এবং জড়িত সন্দেহে শনিবার রাত ১টার দিকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে একই বাড়ির আবুল হাশিমের ছেলে ইয়াছিনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে হত্যার এমন ঘটনা। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গ্রেফতার করা হয় সহযোগিতা করা বিকাশ এজেন্ট নিশীথ কুমার সিংহকে।
রোববার দুপুরে র্যাব-১৪ এর ব্যাটালিয়ন সদর কমপ্লেক্সে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-১৪'র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এফতেখার উদ্দিন।
এ ঘটনায় পলাতক আরেক ঘাতক শাকিলকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
ডেইলি বাংলাদেশ/জেএইচ