জুয়ার আসরে সংঘর্ষ, যমুনায় ঝাঁপ দিয়ে লাশ হলেন তিনজন
প্রকাশিত: ১৮:৩১ ২৯ নভেম্বর ২০২০ আপডেট: ২০:২৩ ৩০ নভেম্বর ২০২০

যমুনা নদী থেকে লাশ উদ্ধার
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সংঘর্ষের পর যমুনা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হওয়া তিন জুয়াড়ির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার দুপুরে উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের চর বসুরিয়া থেকে যমুনা নদীতে ভেসে ওঠে ছানোয়ার হোসেন ছানু ও ফজলুল হক ফজলের লাশ।
একই দিন দুপুরে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার বাসুদেবকোল এলাকায় যমুনা নদী থেকে হাফিজুর রহমানের লাশ উদ্ধার করা হয়।
ছানোয়ার হোসেন ছানু সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের পাখিমারা গ্রামের শামছুল হকের ছেলে, হাফিজুর রহমান গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের সাখারিয়া গ্রামের জমসের আলী খানের ছেলে ও ফজলুল হক ফজল ভূঞাপুর উপজেলার গবিন দাসি গ্রামের আব্দুল বারেক মণ্ডলের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, সরিষাবাড়ী উপজেলার দুর্গম চর বাসুরিয়ার যমুনা নদীর তীরে জুয়াড়ি আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে ‘ওয়ান টেন’ নামে জুয়ার আসর চলছিল। এ নিয়ে অপর একটি পক্ষের সঙ্গে জুয়ার আসরের আধিপত্যকে কেন্দ্র করে বিরোধ বাঁধে। একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন জুয়াড়ি আব্দুল মান্নান। এ সময় আত্মরক্ষার্থে যমুনা নদীতে ঝাঁপ দেন ছানু, ফজল ও হারুন। এরপর তিনজনের আর কোনো সন্ধান মেলেনি।
শনিবার দুপুর থেকে চর বাসুরিয়া যমুনা নদীতে নিখোঁজ ওই তিন জুয়াড়িকে খোঁজার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয় জামালপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা। পরে রোববার দুপুরে যমুনা নদীতে তাদের লাশ ভেসে ওঠে।
সরিষাবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম জানান, যমুনা নদীতে নিখোঁজ তিন জুয়াড়ির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল সংগ্রহ করে লাশ জামালপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ডেইলি বাংলাদেশ/এমআর/জেডএম