ঈশিতা ঝুলে ছিল ২০ মিনিট, এগিয়ে যায়নি কেউ!
প্রকাশিত: ০২:১৯ ১ নভেম্বর ২০২০ আপডেট: ১৩:০৫ ১ নভেম্বর ২০২০

ছবি: সংগৃহীত
শিশু শাহীনের চিৎকার ও ভেতর থেকে গেট খুলে দেয়ার পর এগিয়ে আসেনি কেউ ঈশিতার কাছে। ২০ মিনিট পর বাবা দোকান থেকে এসে মেয়েকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। হাসপাতালে পৌঁছানোর পরও কিছুক্ষণ বেঁচে ছিল ঈশিতা।
ঈশিতা পাঁচ বছরের ছোট ভাইকে বলেছিল, ম্যাজিক করবো দেখবি, আমার কিছু হলে পানি ছিটাবি।
নাচোল এশিয়ান স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ছিল নিহত মোনুয়ারা খাতুন ঈশিতা।
আরো পড়ুন: বড় ভাইয়ের পরিবর্তে বিয়ে করতে এসে ‘বৌ-ভাবি’ দুটোই হাতছাড়া ছোট ভাইয়ের
বিদ্যুৎ না থাকায় ভাই-বোন মিলে খেলছিল ফাঁসি ফাঁসি খেলা। আর খেলতে গিয়ে ফাঁসি লেগে মারা যায় ঈশিতার। গত ২৮ অক্টোবর এই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে। সনি আট চ্যানেলে সিআইডি পর্ব দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে ভাই-বোন খেলতে গিয়ে গলায় ফাঁস লেগে মারা যায় শিশু ঈশিতা।
জানালার শিকে ওড়নার দুই মাথা বাঁধা ছিল, মধ্যে ঝুলানো ওড়নায় গলা আটকা ছিল ঈশিতার। খাটের ওপর বালিশে পাঁ ছিল তার। আর ওই বালিশ পড়ে গেলে দুই পাঁ ঝুলে যায়। মুখ দিয়ে রক্ত বের হলে চিৎকার ও ভেতর থেকেমেইন গেটে খুলে দেয় ছোট ভাই শাহীন। পাশের বাড়ির লোকজন সেই ঘরে পৌঁছে। কিন্তু অনেকেই হাজির হলেও এগিয়ে যায়নি কেউ ঝুলে থাকা ঈশিতার কাছে। বাড়ির মেইন গেটের পকেট গেটটি ছিল বাইরে থেকে আটকানো। ভিতর দিক দিয়ে লাগানো ছিল গেটের ছিটকিনি।
আরো পড়ুন: পুড়িয়ে মারা সেই জুয়েলের বিরুদ্ধে কোরআন অবমাননার প্রমাণ মেলেনি
শিবগঞ্জ পৌর এলাকার রসুলপুর গ্রামের মোকসিদুর রহমান মনির দুই শিশু সন্তান ঈশিতা ও শাহীন । তাদের মা শাহনাজ সুলতানা তালাক প্রাপ্তা। প্রতিদিনের মত বুধবার সকালে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শিবগঞ্জ বাজারে ওষুধের দোকানে যান তাদের বাবা মোকসিদুর রহমান মনির।
দুপুরে ১২টায় তার ফোনে খবর আসে ছেলে-মেয়ে ফাঁসি ফাঁসি খেলতে গিয়ে গলায় ফাঁস লেগে মারা গেছে মেয়ে ঈশিতা। খবর পেয়ে ছুটে এসে হাসপাতালে নিয়ে যান, কিছুক্ষন পর সব শেষ।
ডেইলি বাংলাদেশ/এমকে/জেএস/এআর