রাস্তায় নারীকে ধর্ষণ, জ্ঞান ফেরার পর সাহায্য চাইতে গিয়ে ফের গণধর্ষণের শিকার
প্রকাশিত: ২০:০৩ ৬ আগস্ট ২০২২ আপডেট: ২০:০৪ ৬ আগস্ট ২০২২

ছবি: প্রতীকী
পথ চিনিয়ে দেওয়ার নাম করে এক নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তিন জনের বিরুদ্ধে। পথচারীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে বছর ৩৫ এর ঐ নারীকে তড়িঘড়ি ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। পরে মোট দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ন্যক্কারজনক এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্রের ভান্ডারা জেলায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, তারা খবর পায় একটি সেতুর কাছে রাস্তার পাশে নগ্ন অবস্থায় এক নারী পড়ে রয়েছেন। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান তারা। নারীকে উদ্ধার করে ভর্তি করানো হয় নাগপুর মেডিকেল কলেজে। পরে তার সংজ্ঞা ফিরলে রেকর্ড করা হয় বয়ান। পুলিশ জানিয়েছে, গত ৩০ জুলাই গোরেগ্রামের কামারগ্রামে ভাইয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন নির্যাতিতা। বাড়িতে ঝগড়া করে বেরিয়ে এসেছিলেন।
আরো পড়ুন> চার শিশু নিয়ে কূপে ঝাঁপ দিলেন মা
ভাইয়ের বাড়ির রাস্তা ঠিক মতো ঠাওর করতে পারেননি তিনি। সেই সময় শ্রীরাম উরকুড়ে নামে এক অভিযুক্তের সঙ্গে দেখা হয় তার। নারীকে সাহায্যের আশ্বাস দেন অভিযুক্ত। তাকে ভাইয়ের বাড়ির রাস্তা চিনিয়ে দেবেন। কিন্তু গাড়ি করে নারীকে নিয়ে তিনি চলে যান পলাশগ্রামে। জাতীয় সড়ক ছাড়িয়ে একটি জঙ্গলের কাছে গাড়ি বন্ধ করে দেন অভিযুক্ত। সেখানে ঐ নারীকে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে চলে যান অভিযুক্ত।
পুলিশ সূত্রে খবর, পরের দিন অর্থাৎ ১ আগস্ট জ্ঞান ফেরে নির্যাতিতার। তিনি অনেক চেষ্টায় পৌঁছান কানহালমো এলাকায়। সেখানে পরিচয় হয় জনৈক লুক্কা অশোক সুরভের। নির্যাতিতা তার অবস্থা জানানোর পর তাকে সাহায্যের আশ্বাস দেন তিনি। কিন্তু তিনিও নারীকে ধর্ষণ করেন। তার সঙ্গে এই কুকর্মে যোগ দেন মোহাম্মদ এজাজ আনসারি নামে তৃতীয় অভিযুক্ত। এর পর তার আর কিছু মনে নেই বলে পুলিশকে জানান নির্যাতিতা।
তদন্তে নেমে পুলিশ মোট দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। বাকি এক অভিযুক্তের সন্ধান চলছে।
ডেইলি বাংলাদেশ/এমএস