বঙ্গমাতার অবদান নিয়ে ঢাবিতে ২ দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন
প্রকাশিত: ১৭:৪০ ৬ আগস্ট ২০২২

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। ছবি: সংগৃহীত
জাতি গঠনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অবদান ও জীবনদর্শন বিষয়ে দুই দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ।
আগামীকাল রোববার (৭ আগস্ট) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে সম্মেলনটি উদ্বোধন করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে এই সম্মেলন উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খ্যাতিমান কথা সাহিত্যিক ও বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত এ সম্মেলনে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বক্তা প্রতিপাদ্যের ওপর আলোচনা করবেন।
এ বছর ৮ আগস্ট সোমবার বঙ্গমাতার জন্মদিনকে সামনে রেখে এর আগের দিন আনুষ্ঠানিকভাবে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী নবগঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ উদ্বোধন করবেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য দেবেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. তানিয়া হক।
ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজজীবনে লিঙ্গবৈষম্য নিরসনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের দর্শন ও চিন্তাভাবনা অধ্যয়নের লক্ষ্যে একটি গবেষণা সেন্টার করার আহ্বান জানিয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছার অবদান ও জীবন দর্শন অনুসরণ করে জেন্ডার সমতা, নারীর ক্ষমতায়ন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন গবেষণার লক্ষ্যে ২০২১ সালের ৮ নভেম্বর বঙ্গমাতা সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ধারাবাহিক ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ তিনি। সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত না থেকেও বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক প্রেরণার সবচেয়ে বড় উৎস ছিলেন বেগম মুজিব।
বঙ্গমাতা সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক তানিয়া হক বলেন, বঙ্গমাতার জন্মদিনের শুভক্ষণে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরুর এ পদক্ষেপ সেন্টারের ভবিষ্যৎ কার্যক্রমকে আরো প্রাণবন্ত করে তুলবে। এ সেন্টার শিক্ষা, গবেষণা এবং পরামর্শ কার্যক্রমের মাধ্যমে জেন্ডার সমতা, ন্যায়বিচার, ক্ষমতায়ন এবং সমসাময়িক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জাতীয় উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।
ডেইলি বাংলাদেশ/কেবি