চলন্ত বাসে ডাকাতি-ধর্ষণ, জিজ্ঞাসাবাদে যা বললো আউয়াল
প্রকাশিত: ১০:৪২ ৬ আগস্ট ২০২২ আপডেট: ১০:৪৩ ৬ আগস্ট ২০২২

ডাকাতির কবলে পড়া বাসটি
চলন্ত বাসে জিম্মি করে ডাকাতি ও যাত্রী নারীকে ধর্ষণ পর লুট হওয়া একটি মোবাইল বস্তির এক শিশুকে দেন ডাকাত সদস্য আউয়াল। আরেকটি মোবাইল বিক্রি করেন তিনি। শুক্রবার টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার এ তথ্য জানান।
এসপি সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, ‘চলন্ত বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনায় আউয়াল ও নুরনবী নামে আরো দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার আউয়াল জানিয়েছে- যাত্রীদের থেকে নেওয়া দুটি মোবাইল তার কাছে ছিল। একটি তিনি বিক্রি করেন। আরেকটি বস্তির এক শিশুকে দিয়ে দেন। অপর আসামি নুরনবীর কাছ থেকে যাত্রীদের লুট হওয়া একটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতার আউয়াল কালিয়াকৈরর কাঞ্চনপুর গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে ও নুরনুবী কুড়িগ্রামের রৌমারীর ধোনারচর পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাহেজ উদ্দিনের ছেলে।
শুক্রবার সকালে কালিয়াকৈর এলাকায় অভিযান চালিয়ে আউয়ালকে এবং কালিয়াকৈরের সোহাগপল্লীর শিলাবহ পশ্চিমপাড়া এলাকা থেকে নুরনবীকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এর আগে পুলিশ ঘটনার মূলহোতা রাজা মিয়াকে গ্রেফতার করে। তিনি পাঁচ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ঈগল এক্সপ্রেসের একটি বাস গত বুধবার রাত ৮টার দিকে কুষ্টিয়া থেকে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জের জনতা হোটেলে পৌঁছায়। মহাসড়কের পাশের এই হোটেলে যাত্রীরা খাওয়া-দাওয়া করেন। যাত্রাবিরতি শেষে রাত ১২টার দিকে গন্তব্যের দিকে রওনা দেয় বাসটি। এরপরই সিরাজগঞ্জ জেলার মধ্যেই তিন ধাপে ১৩ জন বাসে ওঠে। পরে সড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ওঠা ১৩ ডাকাত তাণ্ডব শুরু করে। প্রথমে চালকের গলায় চুরি ধরে তারা।
পরে চালক, হেলপার ও সুপারভাইজার ও যাত্রীদের বেঁধে বাসটির পুরো নিয়ন্ত্রণ নেয়। লুটপাট শেষে এক নারী যাত্রীকে সংঘবদ্ধভাবে তারা ধর্ষণ করে। বাসটিতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা তাণ্ডব চালিয়ে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়ায় একটি বালুর স্তূপে ফেলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মধুপুর থানায় ওই বাসের এক যাত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
ডেইলি বাংলাদেশ/এসআরএস