শিমুর লাশ গুমে প্রথমেই ব্যর্থ হন স্বামী, চলে নানা নাটকীয়তা
প্রকাশিত: ২৩:০৮ ১৮ জানুয়ারি ২০২২

ফাইল ছবি
চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুকে হত্যা করার কথা প্রাথমিকভাবে তার স্বামী খন্দকার শাখাওয়াত আলীম নোবেল। এর নেপথ্যে পারিবারিক কলহের জের বলে জানিয়েছে পুলিশ। হত্যার পর লাশ নিয়েও চলে নানা নাটকীয়তা।
নোবেলকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, পারিবারিক কলহের জেরে তিনি শিমুকে হত্যা করেছেন। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রোববার সকাল ৭টা-৮টার দিকে তিনি শিমুকে গলাটিপে হত্যা করেন। এরপর তার বাল্যবন্ধু ফরহাদকে মুঠোফোনে কল করে ডেকে নেন।
অভিনেত্রী শিমুর লাশ গুম করতে তার স্বামীকে বন্ধু (স্বামীর) ফরহাদ সহায়তা করেছেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী বস্তায় শিমুর লাশ লম্বালম্বিভাবে দুটি পাটের বস্তায় ভরে প্লাস্টিকের সুতা দিয়ে সেলাই করেন।
এরপর বাড়ির দারোয়ানকে নাশতা আনতে বাইরে পাঠিয়ে দেন। এরপর বাড়ির মেইন লাইন বন্ধ করেন, যেন সিসিটিভি কার্যকর না থাকে। তারপর নিজের ব্যক্তিগত গাড়ির পেছনের আসনে শিমুর লাশ নিয়ে বেরিয়ে যান দুজন। প্রথমে নোবেল ও ফরহাদ মিরপুরের দিকে গিয়েছিলেন, কিন্তু সেখানে লাশ গুমের উপযুক্ত পরিবেশ না পেয়ে তারা আবার বাসায় ফেরেন।
রোববার সন্ধ্যায় আবার তারা লাশ গুম করতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, বছিলা ব্রিজ হয়ে কেরানীগঞ্জের দিকে যান। আনুমানিক রাত সাড়ে ৯টায় মডেল থানার হযরতপুর ইউনিয়নের কদমতলী এলাকার আলীপুর ব্রিজের ৩০০ গজ দূরে সড়কের পাশে ঝোপের ভেতর লাশটি ফেলে চলে যান তারা।
ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন সরদার জানান, নায়িকা শিমু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার আগেই জড়িতদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি আমরা। সেই সঙ্গে জব্দ করা হয়েছে মরদেহ লুকানোর কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন আলামত।
স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে রাজধানীর কলাবাগান এলাকার বাসায় থাকতেন শিমু। রোববার সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে তিনি আর ফেরেননি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় রাতেই কলাবাগান থানায় শিমুর বোন মনিশা একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পর দিন সোমবার কেরানীগঞ্জ থেকে শিমুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত শিমুর ভাই শহিদুল ইসলাম খোকন রাতে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তার বোনজামাই নোবেল প্রায়ই শিমুকে মারধর করতেন। তিনি মাদকাসক্ত।
ডেইলি বাংলাদেশ/এনকে