শিমু হত্যা: দায় স্বীকার করলেও স্বামীকে আসামি করতে দ্বিধায় তার বোন
প্রকাশিত: ১৭:৩০ ১৮ জানুয়ারি ২০২২ আপডেট: ১৭:৩১ ১৮ জানুয়ারি ২০২২

চিত্রনায়িকা ও মডেল রাইমা ইসলাম শিমু- ফাইল ফটো
চিত্রনায়িকা ও মডেল রাইমা ইসলাম শিমু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও তার বাল্যবন্ধু ফরহাদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরই মধ্যে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিমুর স্বামী নোবেল হত্যার দায় স্বীকার করেছে।
এদিকে হত্যা মামলা করতে শিমুর বোন বর্তমানে কেরানীগঞ্জ থানায় রয়েছে। তবে হত্যা মামলায় দুলাভাইকে আসামি করার বিষয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব পড়েছেন তিনি। এমনকি, অভিনেত্রীকে তার স্বামী নোবেল হত্যা করেছে, সেটি এখনো মানতে রাজি নন নিহত শিমুর বোন ফাতিমা নিশা।
মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমনটাই জানালেন নিশা।
হত্যা মামলায় বোনের স্বামীকে আসামি করা হচ্ছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে ফাতিমা নিশা বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। তবে এ নিয়ে আলাপ-আলোচনা করছি।
পুলিশ বলেছে, নোবেল তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে, কি কারণে এ হত্যাকাণ্ড? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনো আমি কিছু বলতে চাচ্ছি না। পুলিশ কোন পরিপ্রেক্ষিতে বোন জামাই একথা বলেছে, তা পুলিশই জানে। হয়তো, পুলিশের কাছে তথ্যপ্রমাণও আছে। তবে আমি আমার বোনের স্বামীর (নোবেল) সঙ্গে কথা বলা না পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছি না। আমি আমার বোনের স্বামীর সঙ্গে কথা বলতে চাই।
ফাতিমা নিশা বলেন, আমি এখন থানায় আছি। মামলা করার প্রস্তুতি চলছে থানায়। মামলার কাজ শেষে বোনের মরদেহ নিতে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাবো।
এর আগে, মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার এসপি মারুফ হোসেন সরদার জানান, পারিবারিক বিষয় ও দাম্পত্য কলহের কারণে চিত্রনায়িকা ও মডেল রাইমা ইসলাম শিমুকে (৩৫) হত্যা করেছে তার স্বামী শাখাওয়াত আলী নোবেল। এরপর শিমুর মরদেহ গুম করতে বস্তায় ভরে কেরানীগঞ্জে ফেলতে নোবেলের বাল্যবন্ধু ফরহাদ সহায়তা করেছে।
তিনি আরো বলেন, সোমবার মরদেহ উদ্ধারের পরপর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চিত্রনায়িকা শিমুর স্বামী খন্দকার শাখাওয়াত আলীম নোবেল ও তার বন্ধু এস এম ওয়াই আব্দুল্লাহ ফরহাদকে রাতেই কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় নিয়ে আসা হয়। তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদের ফলে শিমুর স্বামী নোবেল ও তার বাল্যবন্ধু ফরহাদের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া যায়।
এসপি বলেন, বিভিন্ন পারিবারিক বিষয়কে কেন্দ্র করে স্বামী নোবেলের সঙ্গে দাম্পত্য কলহ শুরু হয় শিমুর। এর জেরে ১৬ জানুয়ারি সকাল ৭ টা থেকে ৮ টার মধ্যে যেকোনো সময় খুন হন শিমু।
মারুফ হোসেন বলেন, যে গাড়ি ব্যবহার করে মরদেহ গুমের চেষ্টা করা হয়েছে সেই গাড়িটি থানায় আনা হয়েছে। এবং অন্যান্য আলামত সংগ্রহ করেছি। শিমুর স্বামী নোবেল এবং তার বাল্যবন্ধু ফরহাদ বর্তমানে থানা হেফাজতে রয়েছে। মামলা দায়েরেরও প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
ডেইলি বাংলাদেশ/এমকেএ