গ্যাংসহ হাতকাটা শাকিল গ্রেফতার
প্রকাশিত: ১৭:২৭ ২৬ জানুয়ারি ২০২১

ছবি: সংগৃহীত
গত শনিবার রাতে হাইকোর্ট মাজার সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠের সামনের রাস্তায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে জাসদ নেতা মো. হামিদুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করে ডিএমপি’র গোয়েন্দা রমনা বিভাগের একটি টিম।
সোমবার রাজধানীর উত্তর মুগদা ও কামরাঙ্গীচর এলাকা হতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।
গ্রেফতাররা হলেন- মো. শাকিল ওরফে ডুম্বাস, মো. সোহেল ওরফে এরাবিয়ান হোসেন, মো. জাহিদ হোসেন, মো. শুকুর আলী ও মো. সোহেল মিয়া। এদের মধ্যে ছদ্মবেশী রিক্সাচালক শাকিল হাতকাটা শাকিল নামে পরিচিত।
এসময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি চাকু, একটি ব্যাটারিচালিত রিকশা, লুণ্ঠিত মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, জাসদ নেতা হামিদুল ইসলাম গত ২৫ বছর ধরে সেগুনবাগিচা হাইকোর্ট এলাকায় ক্যাবল নেটওয়ার্কের ব্যবসা করতেন। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সেগুনবাগিচা এলাকায় থাকতেন তিনি।
গত ২৩ জানুয়ারি হামিদুল পুরান ঢাকাস্থ ফ্ল্যাটের বাসা ভাড়ার টাকা নিয়ে সেগুনবাগিচার বাসায় ফেরার পথে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি মামলা হয়। ডিবি রমনা বিভাগ এ মামলার ছায়া তদন্তের পর ওই ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা জানিয়েছে, তারা ব্যাটারিচালিত রিকশাযোগে হাইকোর্টের মাজার গেটের বিপরীত পাশে এসে অবস্থান করে। শাকিল ওরফে ডুম্বাস ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে অপেক্ষায় থাকে। আনুমানিক রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাকি ৪ জন হাইকোর্টের ঈদগাহ মাঠের সামনে ফুটপাতের উপরে হামিদুলের গতিরোধ করে তার কাছ থেকে একটি স্যামসাং এ ২১-এস মোবাইল ও পকেট থেকে মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়।
গ্রেফতাররা ভিকটিমের পকেটে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে ভিকটিম চিৎকার করে। তখন গ্রেফতার ছিনতাইকারী সোহেল তার নিকট থাকা চাকু দিয়ে ভিকটিমকে আঘাত করলে মারা যায় হামিদুল ইসলাম।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে গ্রেফতার সবাই পেশাদার ছিনতাইকারী। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে অন্তত ১০টি করে ছিনতাই-ডাকাতির মামলা রয়েছে। প্রত্যেকবারই তারা জামিনে বেরিয়ে একই অপরাধে জড়িয়ে পড়ে।
ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক মো. শাকিলের হাত কাটা, তাই সে হাত কাটা শাকিল নামে পরিচিত। মানবিক কারণে পুলিশ তাকে ব্যাটারিচালিত রিকশাটি চালাতে বাধা দেয়নি। ঢাবি ক্যাম্পাস এলাকায় সে নির্বিঘ্নে রিকশা চালায়। গ্রেফতারের পর জানা যায় সে পেশাদার ছিনতাইকারী।
ছিনতাইয়ের মামলা বা অভিযোগ থানায় পুলিশ নিতে চায় না- এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি’র এ অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, থানায় ভুক্তভোগীদের ছিনতাইয়ের মামলা না নিলে ঊর্ধ্বতনদের জানাবেন। পাশাপাশি ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা না করার প্রবণতাও রয়েছে। সেটা না করে থানায় অভিযোগ করতে নগরবাসীকে অনুরোধ জানান তিনি।
ডেইলি বাংলাদেশ/ইএ/ইকেডি