অসুস্থ রিজভীর পাশে নেই বিএনপি
প্রকাশিত: ১১:০৮ ২২ নভেম্বর ২০২০ আপডেট: ২১:০২ ২২ নভেম্বর ২০২০

ফাইল ছবি
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তবে তার অসুস্থতা নিয়ে দলের মধ্যে নেই কোনো উদ্বেগ।
জানা গেছে, রিজভী অসুস্থ হওয়ার পর তাকে আর্থিক সহায়তা তো দূরের কথা, বিএনপির সিনিয়র কোনো নেতা তার খোঁজখবরই নেননি। রিজভীর চিকিৎসা খরচ কীভাবে জোগাড় হবে বা তার উন্নত চিকিৎসার বিষয়ে বিএনপির নেই কোনো মাথাব্যথা।
রিজভীর ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, দল পরিচালনায় দ্বিমুখী চাপের পাশাপাশি পদ, মনোনয়ন ও বাণিজ্য নিয়ে এ জ্যেষ্ঠ নেতার ওপর দলের নীতিনির্ধারক মহলের ছিল দারুণ চাপ। একদিকে তারেক রহমানের নানা বিতর্কিত নির্দেশ, অন্যদিকে দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার বিভিন্ন উদ্ভট সিদ্ধান্ত। দুজনের এ দ্বিমুখী সিদ্ধান্ত রিজভীর জন্য ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’র মতো হয়ে দাঁড়ায়। তাদের সিদ্ধান্তের মাঝখানে পড়ে বাড়তে থাকে মানসিক চাপ। ধীরে ধীরে শারীরিক ও মানসিক চাপে অসুস্থ হয়ে পড়েন রিজভী।
জানা যায়, তারেক রহমানের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী রিজভীকে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলন করতে হতো। এতে অনেক সিনিয়র নেতা সরাসরি তার প্রশংসা করলেও পেছনে পেছনে তাকে নিয়ে চলছিল তুমুল সমালোচনা। বিষয়টি নিয়েও রিজভীর ছিল উদ্বেগ।
সর্বোপরি বিএনপির দীর্ঘ ব্যর্থতা, অন্য নেতাদের গা ছাড়া ভাব, তারেক রহমানের দুর্ব্যবহার ও পদচ্যুতির হুমকিতে দারুণভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন দলের এ জ্যেষ্ঠ নেতা।
জানতে চাইলে পরিচয় গোপন করার শর্তে বিএনপির সিনিয়র এক নেতা বলেন, এটাই বিএনপির রাজনীতি। যখন একজন নেতা অসুস্থ হন, তখন তার খবর কেউই রাখেন না।
তিনি বলেন, এর আগে স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। কিন্তু দলের কোনো সিনিয়র নেতা খোঁজ নেননি। বিএনপির প্রয়াত নেতা তরিকুল ইসলাম মিয়া এবং এম কে আনোয়ার দীর্ঘদিন অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী ছিলেন। দলের নেতারা তাদের খবর রাখেননি। মান্নান ভূঁইয়ার মতো নেতার মৃত্যুর পরও বিএনপি নেতাদের কেউই কিছু করেননি।
ডেইলি বাংলাদেশ/এএএম/জেডআর/এইচএন/আরএইচ