সড়ক যেন চাষের জমি!
প্রকাশিত: ১১:০৯ ১৬ জুলাই ২০১৯ আপডেট: ১৫:৫৫ ১৬ জুলাই ২০১৯

ছবি: ডেইলি বাংলাদেশ
সামান্য দূরত্বের সড়কটি পারাপারে দুর্ভোগের শেষ নেই। একটু বৃষ্টিতেই সড়কটি পরিণত হচ্ছে কর্দমাক্ত চাষের জমিতে। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় কার্পেটিং ও ম্যাকাডাম উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। তবুও সংস্কারের নেই কোনো উদ্যোগ।
ফেনীর লেমুয়া ইউপির লেমুয়া স্টিল ব্রিজ থেকে মমতাজ মিয়ার হাট বাজার পর্যন্ত ও নবনির্মিত ‘বিশ্বনালী’ সেতুর দুই পাশের এই সড়কের অবস্থা বর্ণনাতীত। এটি ব্যবহারে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাচ্ছে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও পথচারীরা। এমনকি ছোট-বড় গাড়ি চলাচলেরও অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। বাধ্য হয়ে অনেকে দূর-দুরান্ত ঘুরে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে হচ্ছে।
মমতাজ মিয়ার হাটের আশপাশের ১০/১২টি গ্রামের মানুষ প্রধান সড়ক হিসেবে এটি ব্যবহার করে। ২০১৮সালে এই সড়কের মাঝখানে বিশ্বনালী ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। সেতুর দুই পাশ মাটি ভরাট করায় কয়েকদিনের বৃষ্টিতে হাঁটু পর্যন্ত কাঁদা জমে যায়। এতে করে সড়কে চলাচলকারী সিএনজি অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল, পিকআপ, অটোরিকশা চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি নিয়ে চলাচল করেন রোগী ও তার স্বজনরা।
এক পথচারী করিম মোহাম্মদ বলেন, প্রতিদিন ওই সড়কের গর্তের কাঁদায় পড়ে ছাত্রছাত্রীসহ অনেককে বাড়ি ফিরে যেতে হয়। মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।
মেম্বার নিখিল চন্দ্র নাথ বলেন, চলাচলের জন্য সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়কে ইটের ভাঙ্গা আদলা দেয়া হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে মাটি নরম হওয়ার কারণে সেগুলোও দেবে গেছে। এতে চলাচলকারীদের ভোগান্তি বেড়েছে।
লেমুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ উদ্দিন নাসিম বলেন, ফেনী-২ আসনের এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারীর সহযোগিতায় সড়কটি মেরামতের জন্য প্রায় ৮৫ লাখ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হলে স্বল্প সময়ের মধ্যে কাজ শুরু হবে।
ডেইলি বাংলাদেশ/জেএস