শহিদ মিনারের স্রোত বইমেলায়
প্রকাশিত: ১৫:৫৩ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ আপডেট: ১৯:২২ ২২ জুন ২০২০

ছবি: ডেইলি বাংলাদেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক: একুশে স্মরণে বাংলা একাডেমির বইমেলা বাঙালির কাছে যেন একুশের সমার্থক। শহিদ বেদীতে ফুল অর্পণের পর বইমেলায় আসা এখন এক পরিকল্পনা। তাই শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের পর সকাল থেকেই জনতার স্রোত বইমেলামুখী।
শুক্রবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় বইমেলা প্রাঙ্গণ খোলা হয় সকাল ৮টায়। প্রতিদিন ১০টায় শুরু হলেও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো আজও শুরু হয়েছে দু’ঘণ্টা আগে। খোলা রাখা হয়েছে ছুটির দিনের বিশেষ আয়োজন শিশু চত্বর ও কিশোর অরণ্য।
তবে মেলায় আগতদের মধ্যে ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থী বেশি বলে জানালেন মাহি প্রকিশনীর সেলস অফিসার আসাদুর রহমান। তিনি বলেন, আজ জনসমাগম বেশি হলেও বিক্রি কম। কেন বিক্রি কম জানতে চাইলে তিনি বলেন, অন্য ছুটির দিনে মানুষ মেলা উদ্দেশ্য করেই বের হয়। আজ তারা প্রথমে শহিদ মিনারে ফুল দেয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে বের হয়েছেন। তবে দুপুরের পর যারা আসবেন তাদের মধ্যে ক্রেতা বেশি থাকবেন আশা করছি।
মেলায় শিশু-কিশোরসহ নানা বয়সী মানুষের আগমন ঘটেছে। এসেছেন আনেক বিদেশিও।
প্রাইভেট কোম্পানির কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিসুল হক বউ-বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন বই কিনতে। তিনি জানান, এ বছর প্রথম এসেছি ১ ফাল্গুন। আজ এখন পর্যন্ত হুমায়ূন আহমেদের ‘বাসর’ নামে ১টি বই কিনেছি। এবারের মেলার পরিবেশ আরো উন্নত হয়েছে। দাম নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই। প্রাণের এ মেলা বইয়ের প্রতি যেমন আগ্রহী করে তেমনি ভাষার গুরুত্ব মনে করিয়ে দেয়।
ডেইলি বাংলাদেশ/এসআই/