‘মেয়রের মা’ চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত
প্রকাশিত: ১৪:৩৬ ২২ জুলাই ২০১৭
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকনের মা মশবাহিত জ্বর চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘আমি অন্য মায়েদের কষ্ট বুঝি। আমার মায়ের বিষণ্ণ মুখ দেখে কাজে আসি। আমার ওপর আস্থা রাখুন। আগামী ১০ দিনের মধ্যে ডিএসসিসি এলাকা চিকুনগুনিয়া মুক্ত করবো।’
শনিবার (২২ জুলাই) নগর ভবন প্রাঙ্গণে ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সুশীল সমাজ, এনজিও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে চিকুনগুনিয়া নিয়ে সচেতনমূলক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন মেয়র।
এর আগে গত ১৪ জুলাই চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে মশক নিধন কাজে নিয়োজিত ৩০৩ জন স্প্রে ম্যান ১৪৮টি ফগার এবং ২৭১টি হস্তচালিত মেশিন দিয়ে পরিচালিত মশক নিধন কার্যক্রমের সরেজমিন পরিদর্শন এবং চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে স্পেশাল ক্রাশ প্রোগ্রামের উদ্বোধনে তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন ‘আগামী তিন-চার সপ্তাহের মধ্যেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে আসবে।’
সাঈদ খোকন বলেন, ‘নিয়ন্ত্রণের পরও পাশ্ববর্তী এলাকা থেকে আসতে পারে চিকুনগুনিয়া। তাই প্রত্যেক নাগরিককে তাদের নিজ অবস্থান থেকে সচেতন থাকতে হবে।’
মেয়র জানান, ডিএসসিসির হট লাইন চালু করার পর থেকে গতকাল রাত ১০টা পর্যন্ত ৩১ হাজার ৮৫৬টি ফোন এসেছে নাগরিকদের কাছ থেকে। শুধু ডিএসসিসি এলাকা থেকে এতো ফোন আসেনি। দেশের বিভিন্ন এলাকা ও দেশের বাইরে থেকেও এই ফোন কল এসেছে, বিভিন্ন তথ্য জানার জন্য।
এছাড়া ২২ হাজার ১১২ জন নাগরিক কল করেছেন পরামর্শ ও ওষুধের জন্য। এর মধ্যে ডিএসসিসি এলাকার এক হাজার ৪৩০ জন নাগরিক ফোন করেছেন চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের জন্য।
মেয়র জানান, ৩৩৬ জন সরাসরি চিকিৎসা নেয়ার জন্য ফোন দিয়েছেন। এর মধ্যে ১৬৬ জন রোগীকে বাসায় গিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। যেখানে পরামর্শ চেয়েছেন ১২৮ জন। এছাড়া ৩৭ জনকে কল ব্যাক করে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে নাগরিকদের সচেতনতার বিকল্প নেই উল্লেখ করে সাঈদ খোকন বলেন, ‘সবার কাছে সহযোগিতা চাই। আপনারা বাসা বাড়ি পরিষ্কার রাখেন। প্রতিবেশীদের সচেতন করেন।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে মেয়র সাঈদ খোকনের নেতৃত্বে নগর ভবন থেকে ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সুশীল সমাজ, এনজিও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে চিকুনগুনিয়া নিয়ে সচেতনতামূলক র্যালি বের করা হয়।
ডেইলি বাংলাদেশ/এসআই