নির্দেশ অমান্য করে তাড়াশে খুলেছে দোকানপাট
প্রকাশিত: ১৪:১২ ২৩ মে ২০২০

ছবি: ডেইলি বাংলাদেশ
জেলা প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সব ধরনের দোকানপাট খুলেছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এতে উপজেলার সচেতন মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি দোকানের ভেতর ক্রেতাদের মধ্যে কোনো প্রকার সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকছে না। তবে ক্রেতাদের উপস্থিতি তুলনামূলক অনেক বেশি।
সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক টানা দেড় মাস বন্ধ থাকার পর গত ২২ মে সারাদেশের ন্যায় তাড়াশ উপজেলা শহর থেকে শুরু করে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে সব ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও বিপণি বিতান খোলা হয়। এর পর থেকে প্রতিদিনই ক্রেতারা নিয়মিত বাজারে আসতে শুরু করে।
বিশেষ করে গার্মেন্টস সামগ্রী কিনতে বিপণি বিতানগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। এ অবস্থায় সরকারের বেধে দেয়া শর্ত সমূহ পালন করতে কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও বিপণি বিতানে দেখা যায়নি। ফলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় জেলা প্রশাসন গত ৯ মে শনিবার সকাল থেকে জেলা ও উপজেলার বাজারগুলোতে ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ছাড়া সব প্রকার বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।
শুক্রবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেলা প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে তাড়াশ উপজেলার শহরে ও বিভিন্ন বাজারে ৯০ ভাগ দোকান খুলেছে দোকান মালিকরা। তবে প্রশাসনের ভয়ে ব্যবসায়ীরা দোকানের শাটার বন্ধ রেখে একটি শাটার খুলে রেখেছে। সব ভয় উপেক্ষা করে ক্রেতারা দোকানের ভেতরে গিয়ে পাশাপাশি বসে কেনাকাটা করছে। সব ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও গার্মেন্টস পোশাকের দোকানগুলোতে ক্রেতার সমাগম বেশি। এসব দোকানের ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে করোনা সচেতনার কোনো বালাই নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্রেতা বলেন, ঈদের আর মাত্র দুই দিন বাকি আছে। তাই নিজেদের জন্য কোনো পোশাক না কিনলেও ছেলেমেয়েদেরকে ঈদের পোশাক কিনে দিতে হচ্ছে। করোনার ভয় সব মানুষের মধ্যেই আছে। কিন্তু এটা বয়স্করা বুঝলেও শিশু-কিশোরদেরকে বোঝানো যায় না। তাই অনেকটা মনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ঝুঁকি নিয়ে মার্কেটে কেনাকাটা করতে আসতে হয়েছে।
এ ব্যাপারে কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, দোকান খুলতে চাই না। কিন্তু ক্রেতারা এসে ফোন দিতে শুরু করে। তাই বাধ্য হয়ে দোকানের একটি শাটার খুলে তাদের ভেতরে নিয়ে পণ্য বিক্রি করি। তবে চেষ্টা করি দোকানের ভেতরে ক্রেতাদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার। তবে প্রশাসন বেশি চাপাচাপি করলে আর দোকান খুলবো না।
ইউএনও ইফফাত জাহান বলেন, জেলা প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দোকান খোলার ব্যাপারে জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। দ্রুত অভিযান চালিয়ে এসব দোকানপাট বন্ধের ব্যবস্থা করা হবে।
ডেইলি বাংলাদেশ/এমকে