গোপনেই শপথ নিলেন অভিনয়শিল্পী সংঘের নবনির্বাচিতরা
প্রকাশিত: ১৪:০১ ২৫ জুন ২০১৯

ছবি: সংগৃহীত
অনেকটা গোপনেই শপথ নিলেন অভিনয়শিল্পী সংঘের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যরা। সোমবার রাতে সংগঠনের নিকেতনের কার্যালয়ে শপথ নেয় নির্বাচিতরা। এই সময় তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান এবারের নির্বাচনের প্রধান কমিশনার খায়রুল আলম সবুজ। শপথ অনুষ্ঠানের পর আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেন শিল্পী সংঘের নেতারা।
এর আগে সোমবার দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাট্যব্যক্তিত্ব খায়রুল আলম সবুজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সেসময় নবনির্বাচিতদের শপথ নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে নির্দিষ্ট কোন তারিখ বলতে পারেননি। তবে এই সপ্তাহে না আগামী সপ্তাহে শপথ হবে সে বিষয়েও কিছু জানাতে পারেননি তিনি। তবে বলেন শিগগিরই শপথ অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে আরো একটি গণমাধ্যমকে আরেক নির্বাচন কমিশনার মাসুম আজিজ বলেন, শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে। এই সপ্তাহের মধ্যেই নতুন কমিটির সবাইকে শপথ বাক্য পাঠ করানো হবে।
তবে কেউ কোন নির্দিষ্ট দিনক্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করেননি। অবশেষে সোমবার রাতে হঠাৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন কমিটির শপথ নেয়ার ছবি ছড়িয়ে পড়ে। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সোমবার রাতে সংগঠনটির নিকেতনের কার্যালয়ে শপথ নিয়েছেন নবনির্বাচিতরা।
গেল শুক্রবার দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হয় অভিনয় শিল্পী সংঘের নির্বাচন। এতে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন অভিনেতা শহীদুজ্জামান সেলিম। সাধারণ সম্পাদক পদে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন আহসান হাবিব নাসিম।
এবারের নির্বাচনে ২১টি আসনের জন্য লড়াই করছেন ৫১ জন অভিনয়শিল্পী। এতে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আজাদ আবুল কালাম, ইকবাল বাবু ও তানিয়া আহমেদ। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন লুৎফর রহমান জর্জ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন রওনক হাসান এবং আনিসুর রহমান মিলন। অর্থ সম্পাদক নূর এ আলম, দফতর সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক প্রাণ রায়, অনুষ্ঠান সম্পাদক রাশেদ মামুন, আইন ও কল্যাণ সম্পাদক পদে শামীমা ইসলাম তুষ্টি, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক সুজাত শিমুল।
নতুন কমিটিতে সাত কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যরা হলেন নাদিয়া আহমেদ, সেলিম মাহবুব, জাকিয়া বারী মম, বন্যা মির্জা, মুনিরা বেগম মেমী, শামস সুমন ও রাজীব সালেহীন।
এর আগে নির্বাচনের বিরুদ্ধে শিল্পী এহসানুর রহমান বাদী হয়ে ঢাকার দ্বিতীয় সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা করেন। বাদীর আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার আদালত নির্বাচনের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। অপর এক আদেশে আদালত এ নির্বাচন কেন বাতিল করা হবে না মর্মে আগামী সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও আগের কমিটির সভাপতি শহীদুল ইসলাম সাচ্চুর প্রতি নির্দেশনা জারি করেন।
কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শুক্রবার সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট নেয়া হয়। এরপর রাতেই ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
ডেইলি বাংলাদেশ/এনএ